মাহমুদুল্লার অভিমানী অবসর ঘোষণার পর মাঠের মধ্যে পাখির মতো উড়লেন রিয়াদ update breaking today news bd.
Update breaking today news bd; Mahamudullha টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানালো জিম্বাবুয়ে সফরের মাঝখানে। কোনো জানালো টেস্ট বিদায় অভিমান নাকি অন্য কোনো কারণে।
Mahamudullaher সঠিক পার্ফমেন্স এর করার পরেও বিদায় নিয়ে কথা বলতে ইচ্ছুক না ক্যাপ্টেন মমিনুল
চেষ্ট ক্রিকেট চলাকালিন তৃতীয় দিনে এসে অবসরের কথা বলা যেমন অস্বাভাবিক তেমনি ক্যাপ্টেন বা অন্য কারও কথা না বলাটা অস্বাভাবিক। কিন্তু সবথেকে বড়ো অস্বাভাবিক হলো। মাহমুদুউল্লাহ কেন টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর জানালো?
মজার ব্যাপার হলো মাহমুদুউল্লাহ নিজের মুখে এখন পর্যন্ত অবসরের কথা বলেনি। মানে অসাভ্বাবিক কিছু একটা তো আাছেই।
আপনি যদি বাংলাদেশ ক্রিকেটের ফ্যান হয়ে থাকে। কিংবা মাহমুদুল্লাকে পছন্দ করে থাকেন অথবা নাই করেন। কিন্তু মাহমুদউল্লাহর অবসর কিন্তু আপনাকে বিস্মিত করেছে। এটকু হলেও খারাপ লাগা কাজ করছে। কোনো একজন টেষ্ট ক্রিকেটার এভাবে বিদায় নিবে?
যদি এমন হতো যে সামনে t20 বিশ্বকাপের প্রতি করা নজর দেওয়ার জন্য মাহমুদউল্লাহ টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহন করেছে।আসলেও কি তাই? যদি এমন হতো তাহলে সোশাল মিডিয়া এতোটা তোলপাড় হতো না। শোনা যেতো না এতো গুঞ্জন।
তবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে টেষ্ট দল হতে বাদ দেওয়ার গুঞ্জন উঠেছিলো অনক অগেই। পাকিস্তানের সাথে চেষ্টে খারাপ খেলাপ পর কোচ তাকে জানিয়ে দেয়। তাকে নিয়ে টেষ্ট পরিকল্পনা করছেন না বাংলাদেশ টিম তাকে টি২০ এবং ওয়ানডে তে নজর দিতে বলেছেন।
আমরা রিয়াদের শেষ টেষ্ট দেখেছিলাম যখন তিনি বাদ পরেছিলো।
তখন খুবই খারাপ সময় কাটছিলো কাটছিলো মাহমুদউল্লার।কিন্তু একবারও আমরা কেউ মনে করিনি না ভেবে দেখিনি রিয়াদ যেকারনে বাদ পরেছেন সর্বশেষ ভারতের সঙ্গে, আফগানিস্তানের সঙ্গে, পাকিস্তানের সঙ্গে টানা তিন সিরিজ তিনি দলে ছিলেন এবং পাফমেন্স খারাপ থাকার কারনে তিনি বাদ পরেন।
মজার বিষয় হলো ওই তিন সিরিজে কে ভালো খেলেছিলো। এক মুশফিকুর রহমান ছাড়া কার ব্যাট হেসেছিলো। কিন্তু রিয়াদের উপর দিয়ে গিয়েছিল খরাটা।
রিয়াদ হলো এমন একজন ক্রিকেটার যে সবসময় নিরব। তাই তার নাম সাইলেন্ট কিলার। তাকে পঞ্চ পান্ডের একজন বলা হয়। কিন্তু এটাতে কেউ দ্বিতীয় মত করবেন না যে পঞ্চ পান্ডের শেষ পান্ড হলো মাহমুদউল্লাহ সাইলেন্ট কিলার তার নাম। এই মাহমুদউল্লাহ কে যখন বাদ দেওয়া তখন আমরা যৌক্তিক মনেকরেছিলাম।
কিন্তু ভুলে গিয়েছি ঠিক বছর কয়েক আগে তিনি চেষ্ট দলের অধিনায়ক ছিলেন। টানা তিন সিরিজে ছয়টি ম্যাচে নৃতত্ব দিয়েছিলেন তিনি srilanka, জিম্বাবুয়ে, নিউজিল্যান্ড এর বিপক্ষে। এই তিনটা সিরিজ তার জিবনের সবথেকে ভালো সময় ছিলো তার। প্রায় ৬০ গড়ে রান করছিলো এই সাইলেন্ট কিলার। তারপরে কিছু খারাপ সময় যাচ্ছিলো চেষ্ট ক্রিকেটে সাইলেন্ট কিলারের। কিন্তু অন্য ফরমেট যেমন টি২০ এবং ওয়ানডে তে পারফমেন্স বহাল ছিলো।
তিনি প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি করেন। চেম্পিয়ান ট্রফিতে নির্ভরযোগ্য সেঞ্চুরি করেন। এতো এতো পারফমেন্স থাকার পরও যখন তাকে টেষ্ট দল থেকে বাদ দেওয়াটা স্বাভাবিক ভাবে মানতে পারার কথা না কাউরই। কিছুটা অভিমান তো আসবেই।
মাহমুদউল্লাহার অভিমান হয়েছে এটা তো স্পষ্ট। তিনি বলছেন না কিন্তু আমরা জানি বুঝি।
বাংলাদেশের এরকমের বেহায়া সিদ্ধান্তর কারনে বাংলাদেশ থেকে বাদ পরেছেন ইমরুল কায়েস, নাসিরের মতো খেলোয়াররা। মাহমুদউল্লাহ এই প্রতিবাদী অবসরের সাথে আমি একমত। আপনার আপনাদের সিদ্ধান্ত অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাকে।
ধন্যবাদ সবাইকে।